Popular posts

Friday 19 July 2019

ইউক্যালিপ্টাস এর গুন

ইউক্যালিপটাস পাতা পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। চা আমাদের শরীরের জন্য দরকারি নয়।
চা তে তিনটি ক্ষতিকর উপাদান আছে, নিকোটিন, ক্যাফেইন, ট্যানিন এসিড।
দুধ চা ক্ষতিকর, ব্ল্যাক টিতে চা এর ৮০% উপাদান রিমুভ হয়ে যায়। সবুজ চা ভালো এবং সেটাও শীত প্রধান অঞ্চলের জন্য ।
চা পান করলেন ত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিলেন। চা পান করলেন তো শরীরকে এসিডিক করে তুললেন। অনেকের কাছে চা নেশা, কারণ নিকোটিনের প্রভাব।

চা পানীয় মূলতঃ লো বিপিওয়ালা মানুষদের জন্য। ইংরেজরা চা এই ভারতীয় উপমহাদেশে এনেছিলো নিজেদের স্বার্থে এবং পরে ষড়যন্ত্র করে বাজারজাত করে মুনাফা অর্জন করেছে।

এখন যেমন কফি বাজারজাত হচ্ছে সেই একই কায়দায়। যারা কলোনিয়াল মুভমেন্ট বা কলোনিয়াল বিরোধী শ্লোগান টোগান দেন তারা চা পান করতেই করতেই দেন।

এই কথা বলার মূল কারন হলো বর্তমানে আমাদের দেশে জ্বর , ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ছে। এছাড়াও অষ্ট্রেলিয়া তে জ্বর হলে এই ইউক্যালিপ্টাস এর পাতা কিনে তারপর শুধু চা খায়। কারন এটা Anti-viral চা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকরী।

বলছিলাম ইউক্যালিপটাস পাতা জ্বর নিরাময়ে কাজ করে । কিন্তু কিভাবে করে ? তার আগে জেনে নিই এলোপ্যাথিক ঔষধ কিভাবে জ্বর নিরাময়ে কাজ করে ?

প্রকৃতপক্ষে জ্বরের অনেক কারণ। প্রচলিত হলো- ভাইরাসের সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, দেহে বাসরত পরজীবীর সংক্রমণ। আবার যে শুধু সংক্রমণ থেকে জ্বর হবে, এমন কথাও নেই। প্রদাহজনিত অনেক কারণে জ্বর আসতে পারে। ক্যানসারজনিত কারণেও জ্বর আসতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা ক্রনিক ইনফেকশন (যেমন যক্ষ্মা রোগ), মহিলাদের জননতন্ত্রের প্রদাহ , পুরুষদের জননতন্ত্রের প্রদাহ , প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের নালিতে ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে জ্বর হতে পারে।

এই সমস্ত কারণে পাইরোজেন/Pyrogen ফরমেশন হয় । এছাড়া কিছু প্রোটিন, ও প্রোটিন থেকে সৃষ্ট পদার্থের কারণেও জ্বর হতে পারে। আবার ব্যাকটেরিয়ার কোষঝিল্লি থেকে নিঃসৃত লিপোপলিস্যাকারাইড নামক বিষের কারণেও হতে পারে।

আমাদের শরীরে জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ দেহে পাইরোজেন এর পরিমাণ এক পর্যায়ে বেশি বেড়ে যায়। পাইরোজেন আসলে কী? পাইরোজেন হল একপ্রকার জীবাণুঘটিত বিষ যা শরীরের যে সকল অংশ ঠিক মত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, তা অচল করে দেয়। এর বাহক হল ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, প্রভৃতি।
আমাদের শরীরের সাধারন তাপমাত্রা হলো ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনফাইট । এটার কন্ট্রোল মনিটরিং সিস্টেম রহস্যপূর্ণ । কিন্তু এই সিস্টেম জীবাণুর (ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া) বিষ ছড়ানোর কারণে বিকল হয়ে যায়, বিষের নাম পাইরোজেন।তখনই তাপমাত্রা বাড়ে মানে জ্বর আসে, আমরা বলি।

জ্বর কয়েক ধরনের- কন্টিনিউড, রেমিটেন্ট আর ইন্টারমিটেন্ট ( কয়েক ঘন্টার মধ্যে যাওয়া আসা করে)।

এখন উপরের এই পাইরোজেন সংশ্লেষণ হয় এবং একে নিয়ন্ত্রণ করাই হলো মূলতঃ এলোপ্যাথিক ঔষধের ( নাপা জাতীয়) কাজ। কীভাবে পাইরোজেন সংশ্লেষণ হয় সে আলাপে যাবো না।

আর ইউক্যালিপটাস পাতার কাজ হলো এন্টিভাইরাল , এন্টিব্যাক্টেরিয়াল হিসেবে ক্রিয়া করে ভাইরাসের এক্টিভিটিই বন্ধ করে দেয় অর্থাৎ সে পাইরজেন ফর্মেশনে যেতেই দেয় না তার আগেই ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করতে শুরু করে দেয় , কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন এলোপ্যাথিক ঔষধ ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার উপর কাজ করে না , করে পাইরোজেনের উপর । এবং এই সমস্ত এন্টিপাইরেটিক ড্রাগসের সাইড ইফেক্ট মারাত্মক , লিভার কিডনির উপরে বেহাল ভাবে কাজ করে। এজন্য বাইরের অনেক দেশ গুলিতে জ্বরের ঔষধ আপনি ফার্মেসীর দোকান গুলিতে পাবেন না।

পাতা নিয়ে একবার পরখ করে দেখতে পারেন জ্বরের ক্ষেত্রে।