Popular posts

Monday 31 October 2016

The history of Homophythi

ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. হ্যানিম্যান রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত অসুস্থ মানুষের মর্মান্তিক বেদনাকে যিনি নিজের হৃদয় দিয়ে সবচেয়ে বেশী উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, তাঁর নাম স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। প্রচলিত চিকিৎসা বিজ্ঞানসমূহের ইতিহাস নিয়ে যারা ব্যাপক পড়াশুনা করেছেন, তারা সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেন যে, তিনি ছিঁলেন পৃথিবীতে আজ পযর্ন্ত জন্ম নেওয়া সর্বশ্রেষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কারক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান কেবল একজন শ্রেষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানীই ছিলেন না; একই সাথে তিনি ছিলেন মানব দরদী একজন বিশাল হৃদয়ের মানুষ, একজন মহাপুরুষ, একজন শ্রেষ্ট কেমিষ্ট, একজন পরমাণু বিজ্ঞানী, একজন শ্রেষ্ট চিকিৎসক, একজন অণুজীব বিজ্ঞানী, একজন শ্রেষ্ট ফার্মাসিষ্ট, একজন সংস্কারক, একজন বহুভাষাবিদ, একজন দুঃসাহসী সংগঠক, একজন অসাধারণ অনুবাদক, একজন নেতৃপুরুষ, একজন বিদগ্ধ লেখক, একজন সত্যিকারের ধার্মিক ব্যক্তি, একজন পরোপকারী-ত্যাগী মানব, একজন সুযোগ্য শিক্ষক, একজন আদর্শ পিতা, একজন রোমান্টিক প্রেমিক। আজ থেকে দুশ বছর পূর্বে হ্যানিম্যানের সময় এলোপ্যাথিক চিকিৎসা ছিল চরম বর্বরতার সমতুল্য। তখনকার দিনের এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা উচ্চ রক্তচাপসহ অধিকাংশ রোগের চিকিৎসার জন্যই রোগীর শরীরে অনেকগুলো জোঁক লাগিয়ে দিতো রক্ত কমানোর জন্য অথবা রগ কেটে রক্ত বের করত, মানসিক রোগীকে ভুতে ধরেছে মনে করে পিটিয়ে লাশ বানিয়ে ফেলত, একটি রোগের জন্য ক্ষেত্র বিশেষে পনের থেকে বিশটি ঔষধ রোগীকে একত্রে খাওয়ানো হতো, সামান্য থেকে সামান্য ব্যাপারেও শরীরে ছুরি চালানো হতো ইত্যাদি ইত্যাদি। হ্যানিম্যান কিন্তু অন্যান্য ডাক্তারদের মতো ডাক্তারী পাশ করে অর্থ উপার্জনের পেছনে লেগে যান নাই; বরং চিকিৎসার নামে এসব বর্বরতা থেকে মানবজাতিকে কিভাবে মুক্ত করা যায় তা নিয়ে যুগের পর যুগ গবেষণা করেছেন। এজন্য তাকে অভাব-অনটন, দুঃখ-কষ্ট, অপমান-লাঞ্ছনা, হুমকি-ধামকি, দেশ থেকে বহিষ্কার প্রভৃতি অনেক অনেক ভোগানি- সহ্য করতে হয়েছে কিন্তু তারপরও তিনি পিছপা হননি। ফলে রোগের উৎপত্তি, রোগের বিকাশ, রোগের চিকিৎসা, ঔষধ আবিষ্কার, ঔষধ পরীক্ষাকরণ, ঔষধ প্রস'ত প্রণালী, ঔষধের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে তিনি এমন অনেকগুলো বৈজ্ঞানিক সূত্র আবিষ্কার করতে সক্ষম হন ; গত দুইশ বছরেও যার চাই উৎকৃষ্ট কিছু আবিষ্কার করা কোন চিকিৎসা বিজ্ঞানীর পক্ষে সম্ভব হয় নাই। তিনি এমন একটি চিকিৎসা বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছিলেন যাতে বাদশা থেকে ভিক্ষুক কাউকেই টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মরতে না হয়। ডাক্তারদের মধ্যে পেশাগত অহমিকা, লোভ, হিংসা ইত্যাদি যে কত বেশী মাত্রায় আছে, তার প্রমাণ হলো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কার। রোগীকে কম কষ্ট দিয়ে, কম খরচে এবং কম সময়ের মধ্যে রোগ নিরাময়ের স্বার্থে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই অমূল্য আবিষ্কারকে যেখানে সকল চিকিৎসকের সাদরে গ্রহন করা উচিত ছিল, সেখানে দেখা গেছে বেশীর ভাগ ডাক্তারই হ্যানিম্যানের এই অমূল্য আবিষ্কারকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞান এলোপ্যাথি এবং হোমিওপ্যাথি নামে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ইউরোপে এবং আমেরিকায় এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা প্রথম যখন সমিতি গঠন করেছিল, তখন তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীর বুক থেকে (একটি মানবতাবাদী চিকিৎসা বিজ্ঞান) হোমিওপ্যাথিকে নিশ্চিহ্ন করা। বাণিজ্যের কাছে সেবাধর্ম কিভাবে পরাজিত হয়, এসব ইতিহাস সবারই জানা থাকা উচিত। মহাত্মা স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ১৭৫৫ সালের ১১ই এপ্রিল জার্মানীর স্যাক্সোনি প্রদেশের মেইসেন শহরে জন্মগ্রহন করেন, যার অবস্থান ড্রিসডেন শহরের বিশ মাইল উত্তর-পশ্চিমে (পোল্যান্ড এবং চেকোশ্লোভাকিয়ার বর্ডারের কাছে)। তাঁর পুরো নাম ছিল ক্রিস্টিয়ান ফ্রেডরিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Christian Friedrich Samuel Hahnemann)। তাঁর পিতার নাম ছিল ক্রিস্টিয়ান গটফ্রাইড হ্যানিম্যান এবং মাতার নাম ছিল জোহান্না ক্রিস্টিয়ানা। তৎকালে মেইসেন শহরটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর কেননা ইহার চার হাজার অধিবাসীর অধিকাংশই ছিল দক্ষ শিল্পী, রসায়নবিদ এবং চিত্রকর। তাছাড়া এই শহরে ছিল একটি বিজ্ঞান একাডেমী, অনেকগুলো কাপড়ের কারখানা এবং ছিল তখনকার দিনের নতুন আবিষ্কার চীনা মাটির আসবাপত্রের একটি ফ্যাক্টরী। সিরামিকের এই কারখানাটি ছিল পুরনো পরিত্যক্ত একটি রাজ প্রসাদে অবসি'ত। হ্যানিম্যানের পিতা চীনা মাটির থালা-বাসনের ওপর ছবি এঁকে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেই সব দিনে সিরামিকের তৈজষপত্রে রঙ এবং স্বর্ণ দিয়ে নক্সা করা এবং ছবি আঁকা ছিল একটি নতুন আবিষ্ককৃত প্রযুক্তি এবং এই কাজে যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হতো তাদেরকে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে গোপনীয়তা রক্ষার অঙ্গীকার করানো হতো। হ্যানিম্যানের পিতা ছিলেন একজন সৎ, বিচক্ষণ এবং ধার্মিক ব্যক্তি। ফলে ভালো এবং মন্দ, পাপ এবং পুণ্য, সরলতা এবং কুটিলতা ইত্যাদি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা তিনি বাল্যকালেই হ্যানিম্যানের মনে দৃঢ়ভাবে গেথে দিয়েছিলেন। হ্যানিম্যান ছিলেন তাঁর পিতা-মাতার পাঁচ সনতানের মধ্যে তৃতীয় এবং পুত্রদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। শিশুকাল থেকেই তিনি পড়াশুনায় অসাধারণ মেধার পরিচয় দেন বিশেষত ভাষা এবং বিজ্ঞানে। তিনি ইংরেজী, ফরাসী, গ্রিক, ল্যাটিন, সপ্যানিশ এবং আরবী ভাষায় পান্ডিত্য অর্জন করেন। সেকালে ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরব দেশীয় মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের (ইবনে সীনা, ফারাবী, আল কিন্দি প্রভৃতি) লেখা পুস্তকসমূহ পড়ানো হতো; ফলে কারো পক্ষে সত্যিকারের চিকিৎসক বা চিকিৎসা বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য আরবী ভাষা শেখা ব্যতীত কোন উপায় ছিল না। এমনকি মাত্র বারো বছর বয়সে তাঁর ওসতাদের নির্দেশে হ্যানিম্যান তাঁর সহপাঠিদের গ্রীক ভাষা শিক্ষা দিতেন। বলা হয়েছে বিজ্ঞান এবং গবেষণার দিকে তাঁর ঝোঁক ছিল জন্মগত ; একেবারে মজ্জাগত। পাবলিক স্কুলে পড়াকালীন সময়ে মাস্টার মুলার নামক একজন যথার্থ যোগ্য শিক্ষকের স্নেহ লাভে ধন্য হন যিনি তাকে দৈনন্দিন পাঠ মুখসত না করে হজম করার পরামর্শ দিতেন। যোগ্যতা এবং দক্ষতার কারণে তিনি হ্যানিম্যানকে গ্রিক ভাষার ক্লাশ নিতে অনুমতি দিতেন। ফলে সহপাঠিরা হ্যানিম্যানকে ভালোবাসতো। অতিরিক্ত পড়াশোনার কারণে হ্যানিম্যান মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়তেন এবং তখন এই মহান শিক্ষক তাঁর হোমওয়ার্ক, টিউটোরিয়াল ইত্যাদি মাফ করে দিতেন। হ্যানিম্যানের জন্য তাঁর দরজা ছিল সারাক্ষণ খোলা ; যে-কোন সময় তিনি শিক্ষকের সাহায্য লাভ করতে পারতেন। হ্যানিম্যানের পিতা প্রায়ই তাকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিতেন, তাড়াতাড়ি আয়-রোজগার করা যায় এমন কোন পেশায় নিযুক্ত করার জন্য। মাস্টার মুলার তাঁর পড়াশোনা অব্যাহত রাখার জন্য বিদ্যালয়ের ফি পযর্ন্ত মওকুফ করে দিয়েছিলেন প্রায় আট বছর এবং নানানভাবে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে-অনুরোধ করে হ্যানিম্যানকে রেখে তাঁর পিতাকে ফেরত পাঠিয়েছিলেন। ১৭৭৫ সালে হ্যানিম্যান পিতার কাছ থেকে কুড়িটি মুদ্রা (thalers) নিয়ে লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পিতার হাত থেকে নেওয়া এটাই ছিল তাঁর সর্বশেষ টাকা-পয়সা। এজন্য তাকে দোষ দেওয়া যায় না ; কেননা তার আরো অনেক সন্তানাদি ছিল এবং তার যৎসামান্য আয়-রোজগার দিয়ে সকলের জন্য শিক্ষাদীক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। ১৭৭৫ সালে তিনি লিপজিগ ইউনিভার্সিটিতে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানকার অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধার কারণে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন ; কেননা সেই ডিপার্টমেন্টের অধীনে না ছিল কোন ক্লিনিক, না ছিল কোন হাসপাতাল। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি অর্থের বিনিময়ে ইংরেজী থেকে জার্মানীতে পুস্তক অনুবাদের খন্ডকালীন কাজ হাতে নেন এবং একজন ধনী গ্রীক ব্যক্তিকে ফরাসী ভাষা শেখাতেন। ফলে অন্যান্য ছাত্রদের সাথে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারতেন না। ১৭৭৭ সালের প্রথমার্ধে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে এবং বাসতব অভিজ্ঞতা লাভের নিমিত্তে তিনি ভিয়েনা গমণ করেন।

Monday 24 October 2016

বজ্রপাত এর কথা the thender

বজ্রপাত সম্পর্কে কিছু তথ্য বজ্রপাত এমন একটি বিষয় যা সম্পর্কে বিজ্ঞান খুব বেশি তথ্য দিতে পারেনি।আসলে এটি খুব কঠিন একটি কাজ বজ্রপাত ব্যাখ্যা করা।তবুও বিজ্ঞানীরা কিছু তথ্য দিয়েছে।সেই আলোকে আমি এখন আপনাদের সামনে কিছু তথ্য তুলে ধরছি। তাপামাত্রাঃ ==> ৪০,০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। গতিবেগঃ ==> ঘণ্টায় প্রায় ২,২০,০০০ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্যঃ ==> ১০০ মিটার – ৮ কিলোমিটার। ব্যাসার্ধঃ ==> ১০-২৫০ মিলিমিটার। বিদ্যুৎ প্রবাহঃ ==> ১০ কিলো – ১ কোটি ভোল্ট। স্থায়িত্বঃ ==> ১-২ মাইক্রো সেকেন্ড।

Friday 21 October 2016

হোমোপেথি or homophythi

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণকালীন আপনার করনীয়

আপনার করনীয়:

১. খালি পেটে ঔষধ সেবন করবেন। ঔষধ সেবনের আগে ১ ঘণ্টার মধ্যে ও সেবনের পরে আধা ঘন্টার মধ্যে কিছু খাবেন না। 
২. আপনার সহ্য হয় এমন পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাদ্য খাবেন। 
৩. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় সময় আহার করবেন ও নিদ্রায় যাবেন। 
৪. দৈনিক কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুমাবেন। 
৫. দৈনিক প্রচুর শীতল পানি পান করবেন (৪ থেকে ৫ লিটার)। 
৬. নির্দোষ বিনোদন ও খেলাধুলায় অংশ নিতে পারেন। 
৭. প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় কমপক্ষে ১ ঘন্টা খোলা বাতাসে হাঁটবেন। সাধ্যমত শারীরিক পরিশ্রম করবেন। 
৮. সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন ও মনকে প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করবেন। 
৯. মন থেকে সকল প্রকার কুচিন্তা বাদ দিয়ে ধর্মীয় জীবন-যাপনের চেষ্টা করবেন।

। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণকালীন যা করা নিষেধ:

১. ঔষধ সেবনের আগে ১ ঘণ্টার মধ্যে ও সেবনের পরে আধা ঘন্টার মধ্যে কিছু খাবেন না। 
২. ঔষধ খাওয়ার পরে ১ ঘণ্টার মধ্যে কোন প্রকার কষ্টকর শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করবেন না। 
৩. কোন প্রকার সুগন্ধি দ্রব্য, দাঁতের মাজন বা পেষ্ট ব্যবহার করবেন না। 
৪. টক ও টকজাতীয় দ্রব্য, নোনা মাছ, মদ, চা, কফি, তামাকসহ সকল উত্তেজক দ্রব্য এবং যে সব খাদ্য খেলে আপনার রোগ বাড়ে তা খাবেন না। 
৫. কুরুচিপূর্ণ বই-পুস্তক পাঠ ও কামোদ্দীপক আলাপ আলোচনা করবেন না। 
৬. অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করবেন না। অযথা উত্তেজিত হবেন না।

ক্রেডিটঃ মোখলেস, http://www.mokhlesbd.com/treatment/help.php