বসন্ত রোগ একটি ভাইরাসজনিত অসুখ। এই রোগ বসন্তকালে বেশী দেখা যায়। এটি একটি সাধারণ রোগ কিন্তু ভাইরাসের পাশাপাশি যদি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে বেশী জটিলতা ধারণ করে । যেমন : ব্যাকটেরিয়া জনিত নিমোনিয়া। জীবনে এক বার বসন্ত রোগ হলে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, ফলে দ্বিতীয়বার আর হয় না।
বসন্ত রোগের কারণ :
বসন্ত রোগ “হারপেস ভ্যারিসিলা থোসটার” নামক ভাইরাস দ্বারা হয়। আক্রান্ত ব্যাক্তির সর্দি, কাশি, থুথু, হাঁচি, কাপড়, চাদর এবং চামড়ার খোসা ওরস থেকে হতে পারে। এই রোগটি ১০-২১ দিন পর্যন্ত থাকে। তবে শেষ হওয়ার ১-২ দিন আগে থেকে চামড়ার না শুকানো পর্যন্ত ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।
বসন্ত রোগের লক্ষণ :
জ্বর, মাথাব্যাথা, চামড়ার লাল ফুসকুরি-ভিতরে, জল থাকা।চুলকানো। পেট থেকে গলা, ঘাড়, মুখ, হাত-পা এভাবে লাল ফুসকুড়ি ছড়াবে ফোসকার মত।
এটি ৭-১০ দিন থাকে। তারপর ধীরে ধীরে শুকাবে । ফুসকুরি গুলো মুখের ভিতরে মাথায় ও চোখের চারদিকে ও ছড়াতে পারে।
বসন্ত রোগের চিকিৎসা :
নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। প্রধানত: উপসর্গ মোতাবেক চিকিৎসা নিতে হবে।
জ্বর, ব্যাথা ও চুলকানোর জন্য ঔষধ খেতে হবে।অবশ্যই ডাক্তারের কাছে রোগ নির্ণয় করতে হবে।ডাক্তারের পরামর্শ মত ভাইরাস প্রতিরোধক ঔষধ খেতে হবে। নিয়মিত হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করতে হবে।গর্ভবতী মায়ের জন্য এই জীবাণু ক্ষতিকর কারণ গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
কিভাবে বাঁঁচবেন..
আপনার গ্রামে যারা বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাঁদের নিমপাতা, হলুদ একসঙ্গে শরীরে মেখে ৫-৬ দিন স্নান করিয়ে দিন। এটি ছোঁয়াচে রোগ বিধায় সুস্থ লেকেদের থেকে আক্রান্ত ব্যক্তির লেপ, কাঁথাসহ ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা রাখার চেষ্টা করুন। এসময় রোগীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়াটা জরুরি। তার ব্যবহার্য জিনিষপত্র নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। বসন্ত রোগে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত স্নান করাতে হবে। তবে স্নানের পর গা মোছার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে যাতে দানাগুলো ফেটে না যায়। সময়ের আগেই দানাগুলো ফেটে গেলে ওই স্থানে ঘা হয়ে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment