Popular posts

Thursday, 4 January 2018

দিনে কম করে ৩ লিটার জল না খেলে কি হতে পারে জানেন?



আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে জল। খাবার ছাড়াও আমরা কয়েকদিন বেঁচে যেতে পারি। কিন্তু জল ছাড়া, কোনও মতেই সম্ভব নয়। তাই তো চিকিৎসকেরা প্রতিদিন কম করে ৩-৪ লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ এমনটা না করলে ধীরে ধীরে শরীরের সচলতা কমে যায়, যে কারণে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নানান ধরনের সমস্যা। যেমন…

১. কনস্টিপেশনের মতো রোগ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে:

বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খেলে দেহের অন্দরে ধীরে ধীরে এমন পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।

২. ক্লান্তি বেড়ে যায়:

আজকাল অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পরছেন নাকি? তাহলে একবার খেয়াল করে দেখুন তো ঠিক মতো জল খাচ্ছেন কিনা। কারণ শরীরের জলের চাহিদা না মিটলে কোষেদের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কমে দেহের সচলতাও। আর বেশি বেশি কাজ করার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীর দুর্বল হয়ে পরে। সেই সঙ্গে বাড়ে ক্লান্তিও।

৩. ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায়:


কম পরিমাণে জল খেলে ত্বকের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যাওয়ার সুয়োগ পায় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে জলের অভাবের কারণে ধীরে ধীরে কোলাজেনের মাত্রা কমে সেজন্য বলিরেখা যত প্রকাশ পায়, তত ত্বক বুড়িয়ে যেতে থাকে। তাই তো স্কিনকে দীর্ঘকাল সুন্দর এবং প্রাণচ্ছ্বল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে ভুলবেন না যেন!

৪. ব্রেন পাওয়ার মারাত্মক কমে যায়:

মানব মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশই জল দিয়ে তৈরি। তাই তো দিনে কম করে ২-৩ লিটার জল যদি খেতে না পারেন, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে ধীরে ধীরে কগনিটিভ পাওয়ার কমতে শুরু করে, যে কারণে স্মৃতিশক্তি তো কমেই। সেই সঙ্গে বুদ্ধি এবং মনযোগ ক্ষমতাও কমে যায়।

৫. চোট-আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে:

বছরের পর বছর ধরে হওয়া নানা গবেষণায় দেখা গেছে নির্দিষ্ট পরিমাণে জল না খেলে জয়েন্টের সচলতা যেমন কমে, তেমনি বিভিন্ন অঙ্গের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীরের সচলচতা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

৬. ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া থেমে যায়:


আপনি কি নতুন বছরে ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর? তাহলে ভুলেও কম পরিমাণে জল পান করবেন না যেন! আসলে নির্দিষ্টি পরিমাণে জল পান করলে পেট অনেকক্ষণ ধরে ভরা থাকে। ফলে কাজের ফাঁকে বারে বারে চিপস বা ঐ জাতীয় ভাজাভুজি খাওয়ার ইচ্ছা একেবারে চলে যায়। সেজন্য ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে।

৭. মাসল ক্র্যাম্প হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে:

সব ঠিকঠাকই চলছিল হঠাৎ করে পায়ের পেশীতে এমন টান লাগলো যে ব্যাথার চোটে আবস্থা বেহাল। এমন পরিস্থিতির শিকার প্রায়শই আমাদের হতে হয়। আর এমনটা কেন হয় জানা আছে? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নির্দিষ্ট পরিমাণে জল না পান করলে শরীরের অন্দরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের যে ভারসাম্য তা বিগড়ে যায়। যে কারণে এমন ধরনের ক্র্যাম্প লাগার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

No comments:

Post a Comment