Popular posts

Wednesday 3 January 2018

জাল দলিল বাতিল করবেন যেভাবে



 


অপরের সম্পত্তি প্রতারণা করে নিজ নামে বাগিয়ে নেয়ার জন্য নানা কৌশলে সৃজন করা হয় জাল দলিল। কখনো নিরক্ষর মালিককে প্রলোভন দেখিয়ে কখনো বা মালিকের অজান্তে অন্য লোককে মালিক সাজিয়ে গোপন জাল দলিল তৈরি করা হয়।

তবে জাল দলিল যেভাবেই সৃজন করা হোক না কেন জাল দলিল মূল মালিক বা তার ওয়ারিশদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই জাল দলিল সম্পর্কে জানার সাথে সাথেই জাল দলিল বাতিলের জন্য দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। তামাদি আইনের ১ম তফসিলের ৯১ অনুচ্ছেদ অনুসারে এই মামলা জাল দলিল সৃজন সম্পর্কে জানার ৩ বছরের মধ্যে করা যাবে।

জাল দলিল সৃজনকারীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৩-৪৭৩ ধারায় শাস্তির জন্য ফৌজদারি মামলা করা যাবে। জাল দলিল বাতিলের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ এর ধারার বিধান অনুসারে দেওয়ানি মামলা করা যাবে। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪০ ধারা অনুসারে দলিল আংশিক বাতিলের মামলাও করা যাবে।

দলিল বাতিলের সাথে সম্পত্তির দখল পাবার মামলাও করা যায়। আদালত দলিল বাতিলের আদেশ/রায় প্রদান করলে ডিক্রির একটি কপি সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রেরণ করবেন। উক্ত কপির আলোকে রেজিস্ট্রি অফিস দলিল বাতিলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বালাম বহিতে লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। দলিল বাতিলের মামলায় কোর্ট ফি আইনের ২য় তফসিলের ১৭ (৩) অনুচ্ছেদে বর্ণিত কোর্ট ফি প্রদান করতে হবে। দলিলে যার স্বর্থ আছে তিনিই কেবল দলিল বাতিলের মামলা করতে পারবেন।

জনস্বার্থে: কর্পোরেট সংবাদ

No comments:

Post a Comment