Popular posts

Saturday 10 February 2018

Processor এর Core ব্যাপারটা কি আসলে



আমরা যখন একটা ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ কিনতে যাই তখন সবথেকে বেশি জোর দেই Processor এর উপর। কিন্ত আমরা কি আসলে জানি processor এর কোন জিনিষটার উপর আসলে নির্ভর করে সেটির কর্মক্ষমতা? সব থেকে বেশি অজ্ঞ থাকি এই “Core” ব্যাপারটা নিয়ে। আমরা নিজেরাও আসলে বুঝে উঠতে পারি না আমাদের কোনটা প্রয়োজন, ডুয়াল কোর, কোয়াড কোর, হেক্সা কোর না অকটা কোর। আজকে দেখি কিছু ব্যবচ্ছেদ করতে পারি নাকি এই ব্যাপারটার।

বি:দ্র: আজকে শুধুমাত্র ডেস্কটপ/ল্যাপটপের processor নিয়ে আলোচনা করছি। স্মার্টফোনের processor নিয়ে অন্য একদিন করবো।

প্রথমেই সহজ কিছু ব্যাপার ক্লিয়ার হয়ে নেওয়া যাকঃ

১/ একটা processor এর মধ্যে একটা chip ই থাকে। সেই চিপের মধ্যে ১/২/৪/৬/৮ টা কোর থাকে।

২/ এই মুহুর্তে আপনি হাইয়েস্ট ১৮ core এর chip সমৃদ্ধ processor পাবেন বাজারে। মানে এইটাই সবথেকে আপডেটেড processor বাজারের।

৩/ একটা chipএর প্রত্যেকটা core হচ্ছে একেকটি CPU(central processing unit)। মানে আপনার processorএর করা কাজগুলা এই coreগুলা করে থাকে। মানে এই coreগুলা নষ্ট হয়ে গেলে আপনার processorও নষ্ট হয়ে যাবে, processor কোন কাজ করতে পারবে না।

Speed of the processor: 

সাধারণ যুক্তিতে তাহলে কি বলতে পারি? একটা processorএর core যত বেশি হবে processor তত বেশি স্পিডি হবে। তাই না? আসলে ব্যাপারটা এত সহজও না। হ্যাঁ। বেশি coreসমৃদ্ধ chip processorএর স্পিডের  উপর প্রভাব ফালায় কিন্ত সেটা একটু অন্যভাবে। ধরেন আপনি একটা কাজ করছেন। আর আপনার processorএ core আছে ৮টি। এখন ওই কাজটি যদি তার নিজেকে এই ৮টি core এর মধ্যে ভাগ করে দিতে পারে তবেই আপনি বলতে পারবেন ওই স্পেসিফিক কাজের জন্য আপনার processorএর স্পিড বেশি।

এর বাইরে coreএর clockspeed বলে একটা কথা আছে। সেই clockspeedও processorএর স্পিড বাড়ানো কমানোতে প্রভাব ফালায়। একটা বেশি clockspeedওয়ালা ডুয়াল কোরের processor কমclockspeedওয়ালা কোয়াড কোরের processorএর থেকে বেশি স্পিডি হবে।

Processor’s cache memory:

processorএর নিজস্ব কিছু মেমরি থাকে যেটিতে processor ক্ষণিকের জন্য তার কাজের সুবিধার্থে কিছু তথ্য জমা রাখে। RAM যেভাবে টেম্পোরারিলি কিছু ডাটা স্টোর করে রাখে নিজের প্রয়োজনের স্বার্থে ঠিক তেমনি processorএর cache memoryও নিজের মধ্যে কিছু ডাটা রাখে। cache memory’র লেভেল থাকে L1, L2, L3, L4 এইরকমভাবে। L1, L2, L3, L4 cache memory তে যথাক্রমে প্রসেসরের প্রত্যেকটা কোরে 64kb, 256kb, 20mb, 128mb করে জায়গা থাকে। সাধারণত এখনকার ল্যাপটপ/পিসিতে 3/4mb cache memory সমৃদ্ধ processor থাকে।

Power consumption: 

একটা processorএ core যত বেশি হবে তাতে বিদ্যুৎও তত বেশী লাগবে কারন processor চালু হলে প্রত্যেকটা coreএ আলাদা আলাদা করে বিদ্যুৎ প্রবাহ হয়। সুতরাং স্বভাবতই কোয়াড coreএর একটা processorএর ল্যাপটপ/ডেস্কটপের বিদ্যুৎ খরচ ডুয়াল coreএর একটা processorএর ল্যাপটপ/ডেস্কটপের থেকে বেশী হবে। যদিও চিপমেকাররা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী chip তৈরি করার চেষ্টা করছেন processorএর জন্য। দেখা যাক কি হয় সামনে!

Heat generated by the processor: 

এইখানেও সহজ হিসাব। বেশি coreওয়ালা processor বেশি গরম হবে। কম coreওয়ালা processor কম হবে। যদিও এখন পিসির সাথে বিভিন্ন heat sink, cooling system থাকে processorকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য।

Price:

 বেশি coreওয়ালা পিসির দাম বেশি ব্যাপারটা এমন না। উপরে clockspeedএর কথা বলেছি। এইটাও processorএর দাম নির্ধারণ করে। এর বাইরে আর্কিটেকচারাল ভার্সন, জেনারেশন ইত্যাদিও দাম নির্ধারণ করায়।

Relation of software with the speed of processor: 

উপরে একবার বলেছি, আপনি আপনার processorএ কোন সফটওয়্যার চালাচ্ছেন সেটার উপরেও নির্ভর করবে আপনি কেমন স্পিডি processor পাবেন। আপনার সফটওয়্যার যদি chipএর coreগুলার সবগুলাকে ব্যাবহার করে তবে আপনি বেশি স্পিড পাবেন। এই ধরনের সফটওয়্যারকে বলে multi-threaded software। দুঃখের বিষয় এইরকম সফটওয়্যার অহরহ নাই যেইগুলা chipর সবগুলা coreকে ব্যাবহার করে।

Adobe premier pro, google chrome ইত্যাদি multi-threaded softwareগুলার মধ্যে অন্যতম।  যেমন Adobe premier pro তে আপনি কোন ভিডিও এডিট করলে সফটওয়্যারটি chipএর বিভিন্ন coreকে ভিডিও এডিটের বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করে বিধায় কাজ করার সময় পিসি হ্যাং করে না। যদি হ্যাং করে থাকে তবে বুঝতে হবে উক্ত সফটওয়্যার চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় coreসমৃদ্ধ chipওয়ালা processor আপনি ব্যাবহার করছেন না।

এখন একটু বিশ্লেষণ করি কি কাজের জন্য কি ধরনের processor দরকার। আমাদের প্রয়োজন না হওয়ার পরেও সীমিত জ্ঞানের কারনে প্রয়োজনীয় processor ব্যাবহার না করে শুধু দাম দেখেই processor কিনে পিসি/ল্যাপটপে লাগিয়ে ফেলি। দেখি এখন, কি কাজে কোন processor লাগানো যায়।

Gaming: 

গেমারদের জন্য বেশি coreসমৃদ্ধ processor দরকার। কারন বেশিরভাগ হাই কোয়ালিটির গেইম multi-threaded। সুতরাং একজন গেমারের অবশ্যই বেশি coreসমৃদ্ধ processor ব্যাবহার করা উচিৎ.

Video or audio editing: 

ভিডিও/অডিও এডিটররাও সাধারণত বেশি coreসমৃদ্ধ processor ব্যাবহার করে কারন তাদের বেশিরভাগ সফটওয়্যারই multi-threaded software

Photoshop and design:

যারা ফটোশপের কাজ করেন তাদের বেশি coreএর থেকে বেশি প্রয়োজন বেশি ক্লকস্পিড ও বেশি cache memory সমৃদ্ধ প্রসেসরের। কারন ইনাদের বেশিরভাগ সফটওয়্যার single-threaded। সুতরাং তাদের বেশিরভাগ সফটওয়্যার একটাcore ব্যাবহার করেই কাজ শেষ করে। সুতরাং বেশি coreএর  processorএর খুব বেশি প্রয়োজন তাদের nei. সতরাং তাদের ক্লক স্পিড আর cache memory’র উপরে নজর দেওয়াটাই বেশি দরকার.

এর বাইরে ওয়েব ব্রাউজিং অথবা অফিসিয়াল কাজে খুব বেশি coreসমৃদ্ধ processorএর প্রয়োজন নেই কারন এগুলার বেশিরভাগ কাজই single-threaded। মানে একটা core ব্যাবহার করেই কাজ করে এরা। তাই অযথা বেশি দাম দিয়ে বেশি coreসমৃদ্ধ processor কিনলে খুব বেশি লাভ হবে না আপনার কারন এরা একটা core ব্যাবহার করেই কাজ করবে।

No comments:

Post a Comment