Popular posts

Saturday 13 March 2021

কৃমিকে কেনো অবহেলা করা ঠিক নয়? কৃমি কি কি রোগ সৃষ্টি করতে পারে?

কৃমিকে অবহেলা করছেন? কিন্তু এই কৃমিই হতে পারে আপনার জটিল সব রোগের কারন এমনকি আকস্মিক মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। ছবিটার দিকে লক্ষ করেছেন?

উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রায় ৪৮% মানুষ কৃমির যেকোনো একটা  species ;দ্বারা আক্রান্ত এবং ১০% লোক দুইটা species দ্বারা আক্রান্ত ।

প্রথমত কৃমি হলো একটা parasite যারা আমাদের শরীরের বেড়ে উঠে এবং সহজ কথায় এটাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা যায় parasitism।আমাদের শরীরের একমাত্র হাইড্রোকলিক এসিড যা আমাদের পেটে থাকে তা প্রতিরোধ করতে সক্ষম এই কৃমির বিরুদ্ধে কিন্তু সব ধরনের কৃমির জন্য তা কার্যকরী নয়।

বাংলাদেশে যেমন গোল কৃমি যার নাম হলো ascaris lumbricoides এটার আক্রমণ হার বেশি। 
একটা মানুষ যখন সে কোন কাচা শাক সবজি না ধুয়ে বা আধা সেদ্ধ করে খায় অথবা পানি বিশুদ্ধ না করে খায় তখন এগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
এই কৃমি আমাদের শরীরের ক্ষুদ্রান্ত্রে বসবাস আরে এবং ডিম পাড়ে।

আমাদের শরীরে যখন কৃমির টা বেড়ে উঠে তখন কিন্তু ওটা শুধু ক্ষুদ্রান্ত্রে থাকে না কৃমিটা ক্ষুদ্রান্ত্র ফুটা করে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করে ।সবার থেকে খারাপ বিষয় এটাই যে এরা আমাদের portal circulation মানে রক্তসংবহনতন্ত্র ডুকে যায় তারপর Liver, Kidney,  heart, lung এই সকল জায়গায় গিয়ে তারা ক্ষত তৈরী করে।

*যেই কারনে পুষ্টিহীনতা , রক্তস্বল্পতা এগুলো দেখা যায় কারন যখন তারা ক্ষুদ্রান্ত্র ফুটা করে ওটা থেকে শরীরের ভিতর দিয়ে কিছু রক্তপায় হয় যার ফলে anaemia হতে পারে।

• Appendix বা Appendicitis এর প্রদান অন্যতম একটা কারন হতে পারে এই কৃমি কারন যখন এরা ডিম পারার জন্য অথবা খাবারের খোজে ওই Appendix এ ডুকে পরে তারপর যদি বের না হতে পারে তাহলে সেখানে মরে যায় ও infection হয়।

• আরেকটা কারন আছে যেমন 340 প্রজাতির মতো কৃমি রয়েছে যার ভিতরে কিছু কৃমি আছে যেগুলো আপনার lung ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম যেমন আপনার ফুসফুসের ফোড়া অথবা দীর্ঘদীন ধরে আপনার কাশি এগুলো। আমি একটা ছবি দিয়েছি পোস্টের সাথে এরকম আরেকটা rare case হলো যে কৃমি lung এর কোন complex structure এ গিয়ে মারা গেছে এবং obstruction তৈরী করেছে তখন মৃত্যু হওয়াটা স্বাভাবিক।                                  

• আপনার allergy লেভেল বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম একটা কারন হলো এই কৃমি কেনো? তার জন্য বলা ভালো যে আপনার শীররে যখন কৃমিজাতীয় কিছু বেড়ে উঠে তখন আমাদের শরীরের immunity সেটাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে বা বের করে দেওয়ার তখন আমাদের immunogenic activity কারনে IgE লেভেল বেড়ে যায়। দুর্ভাগ্যবশত কৃমি যখন develop করে তখন Anti-enzyme নামক পদার্থ নির্গত করে ফলে তাদের কিছুই হয় না। 

• বাংলাদেশে Ascaris lumbricoides মানে গোল কৃমির যে প্রজাতি আছে তা আমাদের শীররে একদিনে প্রায় ২০০০০ এর মতো ডিম পারতে সক্ষম এবং গড় জিবনে তা প্রায় মিলিয়ন এ গিয়ে দাড়ায়। যেহেতু এই ডিম গুলো stool এর মার্ধ্যমে বের হয় আর সব থেকে খারাপ বিষয় এটাই এই ডিমগুলো বছরের পর বছর মাটিতে বা খারাপ পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। ১০% ফরমালিন বা অন্য কেমিক্যাল দ্রবনে এরা মারা যায় না একমাত্র সূর্যের আলো বাদে।(vary).

কথা গুলো বলার কারন একটাই আপনারা হয়তো মিনার কার্টুন এর হাত ধোয়ার পরামর্শ এবং বাংলাদেশে আগে আর্সেনিক যুক্ত পানি খাওয়ার প্রতি যেই সচেতনতা তৈরী করা হয়েছিল তা প্রায় লক্ষনীয়।
এখন কৃমি নিয়েও ভাবার সময় এসে গেছে কারন কৃমিকে সামান্য ভেবে যারা গুরুত্ব দেয় না তারা জটিল রোগের শিকার হতে পারে।

এখন সবিশেষে এটাই বলা যে আপনারা ৩ মাস পর (Alben ds) বা কৃমির ট্যাবলেট খাবেন এটাই সবার থেকে ভালো উপায় কৃমি প্রতিরোধ করার। অবহেলা নয় বরং স্বাস্থ্য সচেতনত হোন । কোন স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয় কি বলবো বা বলবে তা না ভেবে নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে আপনি কতটুকু সচেতন তা ভাবুন ।
ও আরেকটা বিষয় অনেকে বলে থাকে কৃমির টেবলেট খাওয়ার আগে মিষ্টি খেলে বা দুধ খেলে ভালো?
‎আচ্ছা বিষয়টা ওটা নয় কৃমির যেই টেবলেট ওটা Fat জাতীয় খাবারে বেশি পরিমানে absorb হয় তাই যদি আপনি দুধ খেয়ে ট্যাবলেট খান তো ওটা বেশি শোষন হবে।

পোস্টে যেই ছবিটা দেওয়া হয়েছে ওটা একটা rare madical case গুলোর একটি।

হৃদপিণ্ডের এই পরজীবীর নাম Dilofilaria immitis.মশার কামড়ের মাধ্যমে এই কৃমিগুলো ধাপে ধাপে স্তন্যপায়ীদের হৃদপিণ্ডে পৌঁছায়।

এদের অনেকগুলো প্রজাতি থাকলেও শুধু তিনটি প্রজাতি- D. immitis, D. repens and D. tenuis. এই সংক্রমণ সৃষ্টি করে।লম্বায়ও কম হয় না!১৪ ইঞ্চির মতো হয়।

আক্রান্ত মশার কামড়ে D. immitis এর filaria larvae ত্বকের মধ্য দিয়ে হৃৎপিণ্ডের ডান প্রকোষ্ঠে এবং Pulmonary arteries এ বাসা বাঁধে।এর জন্য রক্ত প্রবাহের blockage হয় এবং heart failure হয়।একই সাথে এরা liver এবং kidney তেও ক্ষতি করতে পারে।

© মো: সজিব খান

No comments:

Post a Comment