Popular posts

Sunday 31 December 2017

finger pin lock

আস্‌সালামু আলাইকুম,

তো সুরতে বলি সবাই কেমন আছেন, আশা করি সকলে ভালো আছেন, আপনাদের দোওয়াতে আমি ও অনেক ভালো আছি।

বেশি কথা না বলে কাজ এ যাই চলুন,

তো বরাবরের মতো অ্যাপসটি ডাওনলোড করুন প্লে-স্টোর হতে, তারপর ওপেন করুন।

ওপেন হয়ে গেলে তারপর আপনাদের Grant Permission  দিতে হবে। তারপর নিচের ছবির মত সব অন করুন।

Grant Permission দেওয়া হয়ে গেলে আপনারা Preview  দিয়ে দিন।

তারপর আপনারা দিবেন Open immediate  এ ক্লিক করুন তারপর Screen Lock খুঁজে বের করে অন করে দিন

এখন আপনি Set Password এ যান কারন আপনি যদি কোন সময় Finger Print Lock ভুলে যান তাহলে আপনার ১০০% কাজে আসবে।

আপনার পছন্দ মত যে কোনটা selected করে নিন এবং ইচ্ছা মত যে কোন লক দিন আপনার যেনো মনে থাকে, আমি প্যাটান লক দিয়েছি।

এই বার আশাকরি।

তারপর আমরা Screen FingerPrint এ ক্লিক করি, কারন আমাদের ফোনে Sensor নেই তাই আমাদের ২য়টাই বেছে নিতে হবে।

এখন আপনি মনে রাখবেন আপনি যে লকটি দিচ্ছেন তা কত সেকেন্ড এ দিচ্ছেন, কারন এই জাইগায় আপনারা সকলে ভুল করবেন সে জন্য এ নোট করে বলে দেওয়া

আপনি যদি সফল ভাবে করতে পারেন এই রকম ফটো আসবে

আপনি যদি ঠিক মত কাজগুলো করে ফেলেন তাহলে ফোনটা লক করুন তারপর দেখবেন নিচের মত আসবে

আপনার ফোনের সেটিংস এ গিয়ে ফোনের যে ডিফল্ট পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন তারা ফোনের টা অফ করে দিন।

অফ করার পর আবার লক করুন দেখবেন Finger Print Enable হয়ে গেছে।

তো নিচের ছবির দিকে তাকালে দেখুনFinger Print রয়েছে ওই খানে ক্লিক করে ও লক খুলতে পারবেন অথবা একটা তিরের মত দেখতে পারছেন ওইটা ফোনের বাম দিক হতে ডান দিকে চাপলে সেই প্রথম যে প্যাটান অথবা পিন দিয়েছিলেন সেটা আসবে।

আশা রাখি আপনি করতে পেরেছেন।

তো তারপরও যারা না বুঝবেন তাদের জন্য আমার নিচের ভিডিও দেখে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক করা সিখতে হবে, এ ছাড়া বুঝানোর গতি নাই

Saturday 30 December 2017

বসন্ত রোগ কেন হয়? কিভাবে বাঁচবেন…



বসন্ত রোগ একটি ভাইরাসজনিত অসুখ। এই রোগ বসন্তকালে বেশী দেখা যায়। এটি একটি সাধারণ রোগ কিন্তু ভাইরাসের পাশাপাশি যদি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে বেশী জটিলতা ধারণ করে । যেমন : ব্যাকটেরিয়া জনিত নিমোনিয়া। জীবনে এক বার বসন্ত রোগ হলে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, ফলে দ্বিতীয়বার আর হয় না।

বসন্ত রোগের কারণ :

বসন্ত রোগ “হারপেস ভ্যারিসিলা থোসটার” নামক ভাইরাস দ্বারা হয়। আক্রান্ত ব্যাক্তির সর্দি, কাশি, থুথু, হাঁচি, কাপড়, চাদর এবং চামড়ার খোসা ওরস থেকে হতে পারে। এই রোগটি ১০-২১ দিন পর্যন্ত থাকে। তবে শেষ হওয়ার ১-২ দিন আগে থেকে চামড়ার না শুকানো পর্যন্ত ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।

বসন্ত রোগের লক্ষণ :

জ্বর, মাথাব্যাথা, চামড়ার লাল ফুসকুরি-ভিতরে, জল থাকা।চুলকানো। পেট থেকে গলা, ঘাড়, মুখ, হাত-পা এভাবে লাল ফুসকুড়ি ছড়াবে ফোসকার মত।

এটি ৭-১০ দিন থাকে। তারপর ধীরে ধীরে শুকাবে । ফুসকুরি গুলো মুখের ভিতরে মাথায় ও চোখের চারদিকে ও ছড়াতে পারে।

বসন্ত রোগের চিকিৎসা :

নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। প্রধানত: উপসর্গ মোতাবেক চিকিৎসা নিতে হবে।

জ্বর, ব্যাথা ও চুলকানোর জন্য ঔষধ খেতে হবে।অবশ্যই ডাক্তারের কাছে রোগ নির্ণয় করতে হবে।ডাক্তারের পরামর্শ মত ভাইরাস প্রতিরোধক ঔষধ খেতে হবে। নিয়মিত হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করতে হবে।গর্ভবতী মায়ের জন্য এই জীবাণু ক্ষতিকর কারণ গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।

কিভাবে বাঁঁচবেন..

আপনার গ্রামে যারা বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাঁদের নিমপাতা, হলুদ একসঙ্গে শরীরে মেখে ৫-৬ দিন স্নান করিয়ে দিন। এটি ছোঁয়াচে রোগ বিধায় সুস্থ লেকেদের থেকে আক্রান্ত ব্যক্তির লেপ, কাঁথাসহ ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা রাখার চেষ্টা করুন। এসময় রোগীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়াটা জরুরি। তার ব্যবহার্য জিনিষপত্র নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। বসন্ত রোগে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত স্নান করাতে হবে। তবে স্নানের পর গা মোছার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে যাতে দানাগুলো ফেটে না যায়। সময়ের আগেই দানাগুলো ফেটে গেলে ওই স্থানে ঘা হয়ে যেতে পারে।

বসন্ত রোগ কেন হয়? কিভাবে বাঁচবেন…



বসন্ত রোগ একটি ভাইরাসজনিত অসুখ। এই রোগ বসন্তকালে বেশী দেখা যায়। এটি একটি সাধারণ রোগ কিন্তু ভাইরাসের পাশাপাশি যদি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে বেশী জটিলতা ধারণ করে । যেমন : ব্যাকটেরিয়া জনিত নিমোনিয়া। জীবনে এক বার বসন্ত রোগ হলে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, ফলে দ্বিতীয়বার আর হয় না।

বসন্ত রোগের কারণ :

বসন্ত রোগ “হারপেস ভ্যারিসিলা থোসটার” নামক ভাইরাস দ্বারা হয়। আক্রান্ত ব্যাক্তির সর্দি, কাশি, থুথু, হাঁচি, কাপড়, চাদর এবং চামড়ার খোসা ওরস থেকে হতে পারে। এই রোগটি ১০-২১ দিন পর্যন্ত থাকে। তবে শেষ হওয়ার ১-২ দিন আগে থেকে চামড়ার না শুকানো পর্যন্ত ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।

বসন্ত রোগের লক্ষণ :

জ্বর, মাথাব্যাথা, চামড়ার লাল ফুসকুরি-ভিতরে, জল থাকা।চুলকানো। পেট থেকে গলা, ঘাড়, মুখ, হাত-পা এভাবে লাল ফুসকুড়ি ছড়াবে ফোসকার মত।

এটি ৭-১০ দিন থাকে। তারপর ধীরে ধীরে শুকাবে । ফুসকুরি গুলো মুখের ভিতরে মাথায় ও চোখের চারদিকে ও ছড়াতে পারে।

বসন্ত রোগের চিকিৎসা :

নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। প্রধানত: উপসর্গ মোতাবেক চিকিৎসা নিতে হবে।

জ্বর, ব্যাথা ও চুলকানোর জন্য ঔষধ খেতে হবে।অবশ্যই ডাক্তারের কাছে রোগ নির্ণয় করতে হবে।ডাক্তারের পরামর্শ মত ভাইরাস প্রতিরোধক ঔষধ খেতে হবে। নিয়মিত হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করতে হবে।গর্ভবতী মায়ের জন্য এই জীবাণু ক্ষতিকর কারণ গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।

কিভাবে বাঁঁচবেন..

আপনার গ্রামে যারা বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাঁদের নিমপাতা, হলুদ একসঙ্গে শরীরে মেখে ৫-৬ দিন স্নান করিয়ে দিন। এটি ছোঁয়াচে রোগ বিধায় সুস্থ লেকেদের থেকে আক্রান্ত ব্যক্তির লেপ, কাঁথাসহ ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা রাখার চেষ্টা করুন। এসময় রোগীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়াটা জরুরি। তার ব্যবহার্য জিনিষপত্র নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। বসন্ত রোগে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত স্নান করাতে হবে। তবে স্নানের পর গা মোছার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে যাতে দানাগুলো ফেটে না যায়। সময়ের আগেই দানাগুলো ফেটে গেলে ওই স্থানে ঘা হয়ে যেতে পারে।

Function Key এর ব্যবহার জেনে নিন

ব্যবহার সম্পর্কে। তবে এর আগে জানতে হবে Function key কি!!

কিবোর্ডের শীর্ষে থাকা F1 থেকে F12 লেবেলকৃত কী গুলোই function key । আসলে শর্টকাটে কাজ করতে এই কী গুলো ব্যবহার করা হয়, যা অন্যভাবেও করা যায়। তাই এই কী গুলো অনেকেই ব্যবহার করে না ও ব্যবহার জানে না। তবে এই কী গুলোর মাধ্যমে অনেক কাজ খুব সহজে এবং কম সময়ে করা যায়। অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার ভেদে এই কি গুলোর ব্যবহার আংশিক ভিন্ন হয়ে থাকে।

এখন চলুন মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে function key এর ব্যবহার দেখে নেই ㅡ

কীব্যবহারF1⇨ সাহায্যের জন্য সার্বজনীন শর্টকাট হিসাবে এই কী বিবেচিত করা হয়। প্রায় সব প্রোগ্রামেই F1 চাপলে 'Help and Support' মেন্যু চালু হয়। 
⇨ Windows Key + F1 চাপলে 'Windows Help and Support' দেখাবে।F2Windows Explore-এ F2 চেপে দ্রুত নির্বাচিত ফাইল বা ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন করতে পারবেন। 
'Ctrl+F2' — MS Office suite প্রিন্ট উইন্ডো চালু হবে। 
'Alt+Ctrl+F2' — MS Office suite ডক্যুমেন্ট উইন্ডো চালু হবে। 
Microsoft Excel এ F2 চাপলে বর্তমান চালু সেল (cell) এডিট করবে।F3উইন্ডোজে যেকোনো ফাইল বা ফোল্ডার সার্চ করতে। 
প্রায় সকল ব্রাউজারে F3 চাপলে সার্চ বার চালু হয়। 
Command Prompt(CMD) সর্বশেষ কমান্ড লাইন পুনরাবৃত্তি করবে। 
'Shift+F3' — MS Office suite এ ইংরেজী অক্ষর ছোট বা বড় হাতের করা যায়।F4Alt+F4 যেকোনো প্রোগ্রাম অবিলম্বে বন্ধ করে। 
Windows Explorer ও Internet Explorer এড্রেস বার চালু করে। 
MS Office suite সর্বশেষ কাজ পুনরাবৃত্তি করে।F5প্রায় সকল ব্রাউজারে পেজ বা ডকুমেন্ট উইন্ডো রিলোড(reload) হবে। 
'Ctrl+F5' — ব্রাউজারের ক্যাচে ক্লিয়ার করে ওয়েবপেজ রিফ্রেশ করে। 
Windows Explorer-এর চালুকৃত উইন্ডো রিফ্রেশ করে। 
MS PowerPoint-এ slideshow শুরু হবে। 
MS Office suite(PowerPoint ব্যতীত)-এ find, replace, এবং go to উইন্ডো চালু হবে।F6উইন্ডোজ ডেস্কটপে থাকাকালীন F6 চেপে টাস্কবার পরিচালনা করা যাবে। 
কিছু ব্রাউজারে এড্রেস বার ফোকাস হয়।F7MS Office suite-এ spell check শুরু হবে। 
'Shift+F7' — Word Document-এ চিহ্নিত ওয়ার্ডের সংজ্ঞা(definition) দেখা যাবে। [অফলাইনে দেখতে অবশই ডিক্শনারি ইনস্টল থাকতে হবে।] 
Mozilla Firefox-এ caret browsing চালু হবে, যা কিবোর্ডের মাধ্যমে ওয়েবপেজের টেক্সট সিলেক্ট করতে কার্যকরী।F8উইন্ডোজ চালু হওয়ার সময়(boot) F8 চেপে Windows Start Menu তে যাওয়া যাবে। এখানে আপনি safe mode এ উইন্ডোজ চালু করতে পারবেন। 
Opera Internet Browser-এ এড্রেস বার ফোকাস হবে।F9Microsoft Word-এ ডকুমেন্ট রিফ্রেশ হবে। 
Microsoft Outlook-এ ই-মেইল আদান-প্রদান করা যাবে। 
Integrated Development Environments-এ এর ব্যবহার আছে। এছাড়া F9 বা ctrl+F9 এর মাধ্যমে Code 'compile and run' করা যায়। এটি প্রোগ্রামারদের জন্য উপযোগী।F10Mozila Firefox ও Internet Explorer মেন্যু বার দেখাবে। 
'Shift + F10' — সিলেক্টকৃত ফোল্ডার বা ফাইলের কনটেক্সট মেনু দেখাবে। (মাউসের রাইট ক্লিক করার সমতুল্য)F11Windows Explorer এবং যেকোনো ব্রাউজারে full screen মোড চালু/বন্ধ হবে। 
'Shift + F11' — MS Excel-এ new sheet যোগ হবে। 
'Ctrl + F11' — MS Excel-এ new macro যোগ হবে।F12MS Office suite-এ 
'F12' — 'Save as' উইন্ডো দেখাবে। 
'Ctrl+F12' — ডকুমেন্ট ফোল্ডার দেখাবে। 
'Shift+F12' — ডকুমেন্ট সেভ করবে। ['ctrl +s' এর অনুরূপ] 
'Ctrl+Shift+F12' — প্রিন্ট উইন্ডো দেখাবে। ['ctrl +p' এর অনুরূপ]

এই পোস্টে function key-এর সকল ব্যবহার তালিকাবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে যেন আপনি আপনার কিবোর্ডের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি আরও কোনো ব্যবহার জেনে থাকেন তবে তা কমেন্ট করতে দ্বিধাবোধ করবেন না। ধন্যবাদ!

Friday 29 December 2017

ইয়া আল্লাহ’ জিকিরের ফজিলত

ইয়া আল্লাহ’ জিকিরের ফজিলত

ইসলাম ডেস্ক: মহান আল্লাহ তায়ালার ৯৯টি নামের মধ্যে ‘ইয়া আল্লাহ’ একটি। মূলত প্রত্যেকটি নাম দ্বারা আল্লাহর এক একটি শক্তি বা মহিমা বর্নিত হয়। যে নামের যে গুন বা অর্থ ঐ নামের জিকির দ্বারা ঐ রুপ ফযীলত পাওয়া যায় বলে জানা যায়। ‘ইয়া আল্লাহ’ নামের ফজিলত নিম্নরূপ-

১) হযরত বায়জীদ বোস্তামী (রহ:) নিজের আমল দ্বারা বর্ননা করিয়া গিয়াছেন যে, “ইয়া আল্লাহ” এই পবিত্র নামটি দৈনিক ৪৩৫৬ বার করিয়া ৪০ দিন পর্যন্ত জিকির করিলে আল্লাহ তার মনের সমস্ত বাসনা পুর্ন করে থাকেন। কিন্তু শর্ত এই যে,আমল দ্বারা ফল লাভ হইলে সর্বদা ফকির মিসকিনদের দান খয়রাত করিতে হবে।অন্যথায় এই ফযীলত বহাল থাকবে না।

২) প্রত্যহ ১০০ বার এই নামে জিকির করিলে ইমান শক্ত হয়।

৩) চিকিৎসকগন যে রোগীর আসা ছাড়িয়া দেন তাহার শেষ ঔষধ এই নামের জিকির করা।

৪) জুময়ার দিন জুময়ার নামাজের পুর্বে নর্জিন স্থানে বসিয়া ২০০ আর এই নাম জিকির করলে মনের বাসনা পুর্ন হয়।

৫) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , সকল যিকির হইতে আল্লাহ নামের যিকির উত্তম।তিনি আরও বলেছেন,যে ব্যাক্তি এই নামে যিকির কওে তাহার অন্তরে এবং মৃত্যু হলে তাহার কবওে নূও চমকাইতে থাকিবে।

৬) পাক পেয়ালায় ৬৬ বার এই নামলিখিয়া পানিতে ধুইয়া পিড়িত ব্যাক্তিকে খাওয়ালে রোগ মুক্তি হবে ইনশাল্লাহ।
৩০ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর

আল্লাহর কয়েকটি নামের ফজিলত



দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : পবিত্র হাদীস শরীফে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাস বলেছেন, ‘সকল প্রকার যিকির হতে আল্লাহ্ পাকের নামের যিকির সর্বোত্তম।’

হযরত আবু হোরায়রা (রা:) বলেন, নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেছেন আল্লাহ তালার ৯৯টি নাম রয়েছে, যে সেগুলো মুখস্থ করবে সে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে।

আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে ১২টির ফজিলত-আসমায়ে হোসনার ফজিলত-

আল্লাহর ৯৯ নামের মধ্যে ১২টরি ফজিলত বর্ণনা করা হলো-

১. ইয়া-আল্লাহ : যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার আল্লাহর নামটি জিকির করবে, আল্লাহপাক তার ঈমান দৃঢ় করবে। পার্থিব কোন লোভ-লালসা বা ছলনা তার ঈমান নষ্ট করতে পারবে না।

২. ইয়া-রাহমানু : (হে অনুগ্রহকারী ও করুণাময়) প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ গুণবাচক নামটি ১১১১ বার যিকির করলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের প্রতি সকলেই সহানুভূতিশীল থাকবে।

৩. ইয়া-রাহীমু : (হেদয়াময় ও পরম দয়ালু) প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ গুণবাচক নামটি ১১১বার পাঠ করলে পাঠকের মন ইনশাআল্লাহ্ বিনয়ী ও নম্র হবে।

৪. ইয়া-মালিকু :(হে মালিক প্রভূ) যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর প্রত্যহ ১০০ বার ‘ইয়া-মালিক’ বলবে আল্লাহতালা তাকে ধনী করে দিবেন।

৫. ইয়া-কুদ্দুসু :(হে পবিত্রতম) যে ব্যক্তি প্রত্যহ সূযাস্তের সময় এই নামটি ১০০ পাঠ করবে আল্লাহ তার মনের বিদ্বেষ দূর করে দিবেন।

৬. ইয়া-সালামু :(হে শান্তি দান কারী) যে ব্যাক্তি এই নামটি “ইয়া-সালামু” বেশি বেশি পাঠ করবেন আল্লাহ তার সকল প্রকার বালা মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন।

৭. ইয়া-মু’মিনু :(হে পরম বিশ্বাসী) প্রতিদিন নিয়মিত ভাবেএ পবিত্র নামটি অধিক পরিমানে পাঠকারী ব্যক্তি শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্তি লাভ করবে।

৮. ইয়া-মুহাইমিনু :(হে রক্ষাকর্তা ও পরম সাহসী) যে ব্যক্তি গোসল করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে খাস দিলে ১০০ বার “ইয়া-মুহাইমিনু” এই নামটি পড়বে আল্লাহ তালা তার মনের ভিতর থেকে সকল প্রকার ভয় দূর করে দিবেন। মনে সাহস বৃদ্ধি পাবে।

৯. ইয়া-আযীযু :(হে পরাক্রমশালী) যে ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত একাধারে ৭৫ বার “ইয়া-আযিযু” পড়বে আল্লাহপাক তাকে সম্মানিত ও অমুখাপেক্ষী করে দিবেন।

১০. ইয়া-জব্বারু :(হে অসীম ক্ষমতাশালী) কেউ যদি উক্তি নামটি হাতের আংটির পাথরে খোদাই করে ব্যবহার করে, তবে সে যেখানেই গমন করুক না কে লোকে তাকে সম্মান করবে।

১১. ইয়া-মুতাকাব্বিরু:(হে মহা গৌরবান্বিত) নিয়মিত ভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৬৯৫বার পাঠ করলে পাঠকের মানসম্মান ও ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধি পাবে।

১২. ইয়া-খলিক্কু :(হে সৃজনকারী বা সৃষ্টিকর্তা) যে ব্যক্তি একাধারে ৭ দিন পর্যন্ত এই নামটি সদা সর্বদা জিকির করিবে, আল্লাহ তালা তাকে বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত রাখবেন।

Thursday 28 December 2017

কম্পিউটার এর সকল PASSWORD হ্যাক করেন

আজ আপনাদের দেখাব কি ভাবে আপনার কম্পিউটার এর সকল PASSWORD বের করবেন। এই সফটওয়্যারে টি এইখান থেকে ডাউনলোড করে নেন ।

ডাউনলোড লিংক : এইখানে

প্রথমে সফটওয়্যারে টি ওপেন করার আগে Anti-Virous টি অফফ করে নেন। এর পর সফটওয়্যারে টি ওপেন করুন।

এবার লক্ষ্য করুন আপনার অপারেটিং সিস্টেম যদি 86x হয় তাহলে A বাটন চাপুন।
এবং আপনার পিসি এর অপারেটিং সিস্টেম যদি x64 বিট তাহলে B বাটন চাপুন

এবার দেখুন আপনার কম্পিউটার এর সকল Password  এইচটিএমএল ফাইল এর মাধমে বের হয়েসে
নিচে স্ক্রীন সর্ট দেয়া হল।

 

ডাউনলোড লিংক : http://www.mediafire.com/download/osdadkres398nm8/ExpertTool.rar

ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন কারন আপনার কমেন্ট এর উপর নির্ভর করবে আমার পরবতটি পোস্ট।

ধন্যবাদ সবাইকে  

Kali linux install

আসসালামু আলাইকুম। এটি আমার প্রথম টিউন ভুল ত্রুটি হলে মাফ ককরবেন। চলুন আআসল কথায় আসি আমদের মধ্য অনেকেই হ্যাকার হতে চান। kali linux হলো এমন এক্টি operating system যাতে অসংখ্য hacking tool আছে। কিন্তু আমাদের মধ্য অনেকের কম্পিউটার নেই আবার অনেকের কম্পিউটারে support করে না কেউ কেউ windows কে বেশি পছন্দ করেন ফলে তারা kali linux use করেন না। আজকে আমি আপনাদের শিখাবো কিভাবে android এ কালি লিনাক্স চালানো যায়। তাহ্লে চলুন আর কথা না বাডিয়ে শুরু করি
install kali linux on your android
আপনার যা যা লাগবে
[[[[[[[[Rooted phone]]]]]]]
{{{{{{{6gb free space on your phone not sd card}}}
1.complete linux installer lastest verson 2.8.1.apk(must)
2.uc browger mini (for fast download)(don't download uc browger hd)
(optional)
3.winrar.apk(must)
4.vnc viewer.apk(must)
5.terminal emulator.apk (must)
6.Kinux img file 1.7gb (must must must)
kali linux img link download Kali linux.zip 
warning-ভাইজান start হওয়ার আগে জেনে রাখুন সব
মিলিয়ে download করতে লাগবে ২জিবির মতো I
suggesting you to use wifi
use winrar too extract kinux.zip file
তার পর কি করতে হবে ু লিখলে বুঝবেন না তাই
এখান থেকে দেখে নিন তারপর কি করবেন
https://m.youtube.com/watch?v=nnhueASVmQ4

কাজ করলে এক্টা ধন্যবাদ দিয়েন।
টিউন্টি পছন্দ হলে আমি নিয়মিত হ্যাকিং নিয়ে টিউন করব।
[note: হ্যাকিং করে কারো ক্ষতি করবেন না

Wednesday 27 December 2017

IMEI Fix For Android(Root)!!

অনেক সময়ই দেখা যায় কাস্টম রম ফ্ল্যাশ দিতে গিয়ে IMEI নষ্ট হয়ে যায়।এর কারণে ফোনের ডাটা কানেকশনে সমস্যা সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।বিভিন্নভাবেই IMEI সংরক্ষণ করে রাখা যায়,যেমন Mobile Uncle Tools এর সাহায্যে বা TWRP এর মাধ্যমে NVRAM ব্যাকআপ করে।কিন্তু সবসময় ব্যাকআপের কথা মনে না থাকাই স্বাভাবিক।তাই যারা ব্যাকআপ করেন নাই অথবা করার পরও সেটি রিস্টোর করতে পারছেন না,তাদের জন্য এই পোষ্ট 🙂

কিভাবে বুঝবেন আপনার IMEI নষ্ট হয়েছে?

ফোনের কোন সিস্টেম ফাইল রিপ্লেস/মডিফাই করার পর অথবা কাস্টম রম ফ্ল্যাশের পর যদি সিমে নেটওয়ার্ক না পায় বা নেট চালাতে অসুবিধা হয়,তাহলে আপনার Dialer ওপেন করে *#06# টাইপ করুন।সেখানে নিচের মত আসলে বা কিছু না লেখা থাকলে বুঝতে হবে আপনার IMEI নষ্ট হয়েছে।

 

প্রয়োজনীয় অ্যাপস:

Chamelophone-

 

Chamelephon

Price: Free 

 

IMEI Fix প্রসেস:

প্রথমে অ্যাপসটি ইনস্টল করে নিনএবার আপনার ফোনের বক্স থেকে বা ব্যাটারি খুলে ফোনের বডি থেকে আপনার IMEI নাম্বার দুটি কোথাও লিখে নিনএখন Chamelophon ওপেন করুনদুটি বক্স দেখতে পাবেন,প্রথম বক্সে প্রথম IMEI বসান এবং দ্বিতীয় বক্সে দ্বিতীয় IMEI বসানসেভ করে রিবুট করুনএবার *#06# ডায়াল করে আপনার IMEI চেক করুন

বি.দ্র.: আপনার ফোন অবশ্যই রুটেড হতে হবে 🙂

 

আরো আপডেটের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন 🙂

সমুদ্রে রাজত্ব করা কুখ্যাত ১০ জলদস্যুর কাহিনী

ক্যারিবিয়ান সাগরে এবং তা ছাড়িয়ে, জলদস্যুরা ইতিহাসের পাতায় চিরকাল বেঁচে থাকবে- তাদের দুঃসাহসিকতায়, ভুল কাজের খ্যাতি অথবা নৃশংসতায়। প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট সময়ে সমুদ্রে তাদের প্রভাব বিস্তার করে গেছে, যদিও তারা সকলেই ছিল ক্ষণজন্মা। সমুদ্রে রাজত্ব করা এমনই ১০ জন বিখ্যাত জলদস্যুর তালিকা দেয়া হল।

উইলিয়াম কিড ( স্কটিশ১৬৪৫-১৭০১)

উইলিয়াম কিড

একজন কেতাদুরস্ত স্কটিশ লোক, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট নাগরিক, ট্রিনিটি চার্চ এর সক্রিয় সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্যাপ্টেইন কিড তার পেশা জীবন শুরু করেছিলেন শত্রু-জাহাজ  আক্রমণ ও লুণ্ঠনের অধিকার প্রাপ্ত বেসরকারি জাহাজে যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সমুদ্র থেকে জলদস্যুদের অপসারন করা। অনেকটা অনিচ্ছকৃতভাবেই কিড জলদস্যু জীবনে প্রবেশ করেন, যদিও তার জলদস্যুতা রোমাঞ্চকর হিসেবে তুলে ধরার ফলে অনেক প্রশ্ন জাগে। কিডকে তার নাবিকদলই জলদস্যু ক্যাপ্টেইন হিসেবে নির্বাচিত করে। তার সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জাহাজ আক্রমণ করা। যখন তিনি জানতে পারলেন যে এই কাজের জন্যে তাকে খোঁজা হচ্ছে, তখন কিড তার কিছু সম্পদ গার্ডিনার আইল্যান্ডে লুকিয়ে ফেলে যাতে পরবর্তীতে একে দর কষাকষির ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু বোস্টনে স্ত্রী সহ ধরা পরার পর বিচারের জন্যে কিডকে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকের মতে, তাকে অন্যায় ভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এবং তা কার্যকর হয়েছিল অনেক বাজে পদ্ধতিতে। যে দড়িতে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল তা দুইবার ছিঁড়ে যায়, এবং তৃতীয়বার যখন তাকে থেমস নদীর পাশে ফাঁসি দেয়া হয় তখন দড়ির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছিল শিকল আর পুরো শরীর আলকাতরা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিল।

এডওয়ার্ড টিচ “ব্ল্যাক বিয়ার্ড”(ইংলিশ, ১৬৮০-১৭১৮)

অনেক সফল ত্রাস সৃষ্টিকারীদের  জলদস্যুদের মধ্যে ব্ল্যাক বিয়ার্ড ছিল তার সময়কার সুপরিচিত এবং অন্যতম একজন। তার পরিচালনায় ছিল ৪ টি জাহাজ আর ৩০০ জনের জলদস্যু বাহিনী। বিখ্যাত যুদ্ধ জাহাজ এইচ এম এস স্কারবরো কে পরাস্ত করেছিল  ব্ল্যাক বিয়ার্ডের বাহিনী। লড়ায়ে দুই হাতে দুই তলোয়ার, কয়েকটা ছুরি আর পিস্তল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরার জন্যে বিখ্যাত ব্ল্যাক বিয়ার্ড। ক্যারিবিয়ান সাগরে ৪০ টির বেশি বাণিজ্যিক জাহাজ লুণ্ঠন  এবং অসংখ্য বন্দীকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছে ব্ল্যাক বিয়ার্ড ।

এডওয়ার্ড টিচ “ব্ল্যাক বিয়ার্ড”

অনেক উপপত্নী থাকলেও মূলত ব্ল্যাক বিয়ার্ডের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়েছিল ১৬ বছরের এক কিশোরীর সাথে – যে তাকে সংশোধন করার চেষ্টা করেছিল এবং এই “অপরাধে”  ব্ল্যাক বিয়ার্ড তার স্ত্রীকে উপহার হিসেবে নাবিকদের কাছে অর্পণ করে। এক ভয়ানক যুদ্ধের পর রাজার নৌবাহিনীর হাতে ব্ল্যাক বিয়ার্ড বন্দী হয় এবং পরে তার শিরচ্ছেদ করা হয়। তার কাটা মাথা ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটন নদীর কাছে খুঁটির মধ্যে গেঁথে রাখা হয়েছিল জলদস্যুদের সতর্কবার্তা হিসেবে।

বার্থলোমিও রবার্টস “ব্ল্যাক বার্ট” ( ওয়েলস, ১৬৮২-১৭২২)

রবার্টস এর সুনাম ছিল তার সাহসিকতার জন্যে। তাকে ডাকা হত “পিস্তল প্রুফ” হিসেবে, যদিও ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই পেশায় রবার্টস এর প্রবেশ। হুওয়েল ডেভিস নামের এক জলদস্যুর হাতে বন্দী হয়েছিলেন রবার্টস। জাহাজ দখলে নেওয়ার পর  ন্যাভিগেটর হিসেবে দক্ষতা, অনন্যসাধারন প্রতিভা এবং সাহসের জন্য সকলের কাছে রবার্টস মহান হয়ে উঠেন।

বার্থলোমিও রবার্টস “ব্ল্যাক বার্ট”

৪০০ টিরও বেশি জাহাজ লুণ্ঠন করেছিলেন তিনি এবং প্রতিটি লুটের সময় অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত জাহাজ পরিচালনা করেছিলেন। ব্রিটিশ ক্যাপ্টেইন ক্যালোনার ওগলের বিরুদ্ধে জোরালো যুদ্ধে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রবার্টস এর মৃত্যু তার বিশ্বস্ত অনুসারি এবং শুভাকাঙ্খিদের সাথে রয়েল নেভিকেও স্তব্ধ করে দেয়।

হেনরি এভেরি “লং বেন” ( ইংলিশ, ১৬৫৩-অজানা )

নাবিক হিসেবে এভেরির কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে। ১৬৯৩ সালে স্প্যানিশ যুদ্ধ জাহাজে যোগদান করার আগে অনেক গুলো জাহাজে কাজ করেছিলেন তিনি।  হেনরি এভেরি জলদস্যু নেতা হয়েছিলেন বিদ্রোহ করার মাধ্যমে। তাকে বলা হত লোহিত সাগরের ত্রাস

হেনরি এভেরি “লং বেন”

অনেকগুলো জাহাজ লুট করার রেকর্ড না থাকলেও তিনি ভারত সাগরে বিখ্যাত দুই জাহাজ লুট করেছিলেন( যার একটির মধ্যে ভারতীয় ধন-রত্ন বোঝাই ছিল। এভেরি ছিল বিশ্বের সবথেকে ধনী জলদস্যু। প্রচুর সম্পদ গড়ার পর এভেরি অবসরে চলে যায়। তার মৃত্যু সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।

অ্যান বনি (আইরিশ, ১৭০০-১৭৮২)

পরিবারের সাথে নতুন বিশ্বে ভ্রমণের সময় অ্যান ভালবেসে জেমস বনি নামের এক কপর্দকহীন নাবিকের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু জেমস এর পৌরষ্যের অভাব অ্যানকে নিরাশ করে এবং এর ফলে ন্যাসো এর অনেক পুরুষের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে একজন “ক্যালিকো জ্যাক” র‍্যাকহেম, যে ছিল জলদস্যু জাহাজের ক্যাপ্টেইন। অ্যান পুরুষের ছদ্মবেশে র‍্যাকহেম এর নাবিকদলের সাথে যুক্ত হন। এইভাবে র‍্যাকহেম এর নির্দেশে অ্যান যুদ্ধ করতেন এবং মেরি রীড নামের আরেকজন নারী জলদস্যুর সাথে মিলে নাবিকদলকে সাথে নিয়ে রক্তক্ষয়ী এবং ভয়ানক যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিলেন আর এ সকল কারণে তিনি দুর্দান্ত জলদস্যুতে পরিণত হয়েছিলেন।

অ্যান বনি

তবে র‍্যাকহেমের দলের সাথে অ্যান ধরা পরেন এবং সকলের সাথে তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বন্দী থাকা অবস্থায় অ্যান এবং মেরি রীড উভয়ই দাবি করেন যে তারা গর্ভবতী এবং সেই কারণে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়না(যদিও মেরি জেলখানাতেই মারা যায়)। অ্যান এর মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল তা কেউ জানেনা। তবে অনেকের মতে, অ্যান তার স্বামী অথবা তার বাবার কাছে ফিরে গিয়েছিলেন।

স্যার হেনরি মরগান (ওয়েলস, ১৬৩৫-১৬৮৮)

বিখ্যাত জলদস্যুদের মধ্যে ক্যাপ্টেইন মরগান ছিলেন অন্যতম যার কারণে ১৬০০ শতাব্দীর শেষের দিকে স্পেন এর ক্যারিবিয়ান কলোনি ভীত সন্ত্রস্ত  ছিল। সকলের অলক্ষ্যে মরগান জ্যামাইকান নৌবহরের প্রধান হিসেবে ইংল্যান্ডের অনুমোদন লাভ করেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিসে স্বাভাবিক অবস্থা ব্যাহত করে সফলতার সাথে স্প্যানিশ শাসনের পতন ঘটায়। জলদস্যু হিসেবে প্রায় ৪০০ টি জাহাজ লুট করেছেন ক্যাপ্টেইন মরগান।

স্যার হেনরি মরগান

তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল ৩০ টি জাহাজ, ১২০০ জন লোক সমেত সম্পদশালী পানামা শহরের লুট। এই ঘটনার জন্যেই ক্যাপ্টেইন মরগানকে বন্দী করে ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।  কিন্তু স্পেন ও ইংল্যান্ড এর মধ্যকার যুদ্ধের কারণে রাজা ২য় চার্লস তাকে নাইট হিসেবে অভিষিক্ত করেন এবং জ্যামাইকার ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করে মুক্তি দেন যেখানে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সম্মানের সাথে জীবনযাপন করেন।

ফ্রাসোয়া ইওলনেই (ফ্রেঞ্চ, ১৬৩৫-১৬৬৮)

ফ্রাসোয়া ইওলনেই আমেরিকার এক কারখানায় চুক্তিতে কাজ করতেন এবং দারিদ্র্যের মাঝে দিনযাপন করতেন। জলদস্যুর খাতায় নাম লেখানোর পর ফ্রাসোয়া ইওলনেই খ্যাতি লাভ করেন তার বদমেজাজ এবং লুটপাটের জন্যে। যে লুঠতরাজের কারণে ফ্রাসোয়া ইওলনেই বিখ্যাত হন তা হল ভেনিজুয়েলার মারাকাইব শহরের লুট যেখানে প্রায় ২০০,০০০ স্প্যানিশ ডলার লাভ করেন তিনি। তার ধর্ষকামী ও রক্তপিপাসু বৈশিষ্ট্যের ফলে এমন কথাও ছড়িয়েছে যে, ফ্রাসোয়া ইওলনেই কোন  এক যুদ্ধের সময় একজন স্প্যানিশ সৈনিকের হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে খেয়েছেন।

ফ্রাসোয়া ইওলনেই

তার নিজের মৃত্যুও ছিল ভয়াবহ। ফ্রাসোয়া ইওলনেই এবং তার নাবিকেরা পানামা উপকূলের কিছু দূরে বালুতটে তাদের জাহাজ ভিড়িয়েছিল। স্থলে  খাবারের খোঁজে বের হলে স্থানীয় উপজাতিরা তাদেরকে বন্দি করে ফেলে এবং গ্রাস করে।

স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক ( ইংলিশ, ১৫৪০-১৫৯৫)

স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক তার সময়ের বিখ্যাত একজন জলদস্যু। রানি এলিজাবেথ এর নির্দেশে বেশ কয়েকবার স্প্যানিশ আর্মিদের উপর হামলা চালিয়েছেন। স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক যতদিন বেঁচেছিলেন ততদিন পর্যন্ত ফ্লোরিডা উপকূলের স্প্যানিশ শহরগুলো লুট করে গেছেন। তিনি উত্তর আমেরিকাতে যাত্রা করে প্রশান্ত উপকূলে রানী এলিজাবেথের নামে নতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক

তিনি ছিলেন প্রথম ইংরেজ যিনি সমুদ্র পথে বিশ্ব ভ্রমণ করেন। রোওয়ানক দ্বীপের ব্যর্থ ইংরেজ কলনিস্টদেরও উদ্ধার করে নিয়ে এসে নিজের জাহাজে করে ইংল্যান্ড এ ফিরিয়ে এনেছিলেন। প্রসিদ্ধ এক কর্মজীবন পার করার পর পানামা উপকূলের কাছে আমাশয়ের মত সামান্য কারণে মারা যান।

চেং পো সাই ( চাইনিজ, ১৭৮৩-১৮২২)

চেং পো সাই এর পিতা ছিলেন একজন জেলে। এক জলদস্যু দম্পতি তাকে অপহরণ করে এবং পরবর্তীতে পালিত পুত্র হিসেবে লালিত-পালিত হন। তিনি নিজেও পরে জলদস্যুতে পরিণত হন। তার বহরে ছিল কয়েকশ জাহাজ এবং অনুসারী ছিল ৫০০০০ এরও উপরে মানুষ। গুয়াংডংর উপকূলবর্তী এলাকাতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

চেং পো সাই

তার সংগ্রহে অনেক অনেক ধন-সম্পদ ছিল যা তিনি ছোট এক গুহায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। কোনমতে চীনা সরকার তাকে ধরতে সক্ষম হয়। তবে চেং পো সাই সরকারের সাথে চুক্তি করেন এবং কুইং ইমপেরিয়াল নেভির ক্যাপ্টেন হিসেবে মনোনীত হন। তাকে কর্নেল পদে নিয়োজিত করা হয় এবং জীবনের বাকী সময় তিনি অন্য জলদস্যুদের সাথে যুদ্ধ করে ও সরকারকে সহয়তা করে কাটিয়েছেন।

চিং শিহ্ ( চাইনিজ, ১৭৮৫-১৮৪৪)

চিং শিহ্, যার আরেক নাম চেং ই সাও, ছিলেন চীনের কুখ্যাত নারী জলদস্যু যিনি তার দস্যু জীবনে সাফল্য অর্জন করেছিলেন। চেং এর স্বামী ছিলেন জলদস্যু এবং তার মৃত্যুর পর স্বামীর সকল কাজের দায়িত্ব গ্রহন করেন তিনি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীর সমকক্ষ হয়ে উঠেন তিনি। চেং তার স্বামীর ডান হাত, তার পালিত পুত্র, চেং পো সাই কে  নিজ নৌবহরের ক্যাপ্টেইন হিসেবে নিযুক্ত করেন। সুন্দরী ক্যাপ্টেইন সাও এর হাতে ছিল ১৫০০ এর বেশি জাহাজ  এবং ৮০০০০ অনুসারী।

চিং শিহ্

তিনি তার পালিত পুত্র চেং পো সাই কে বিয়ে করেছিলেন। চীনের সরকার যখন শান্তির বদলে সমস্ত জলদস্যুকে ক্ষমা দেওয়ার প্রস্তাব করে, তখন চেং তা গ্রহণ করেন। তার অনুসারীরা নিজ নিজ সম্পদ নিজেদের কাছে রাখার অনুমতি পেয়েছিল এবং প্রত্যেককে সামরিক বাহিনীতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছিল। চেং তার বাকি ৬৯ টি বছর স্বামীর সাথে ক্যাসিনো আর পতিতালয় পরিচালনা করে কাটিয়ে দেন।